নিজের ক্যারিয়ারটি কেমন হবে, সেটা অনেকটাই নির্ভর করে নিজের ধরনের
উপরেই। আপনি মানুষটা কোন ধরনের, তার উপর ভিত্তি করে যদি ক্যারিয়ারের
যাত্রা শুরু করেন, তাহলে সাফল্য আসবে নিশ্চিত। এখানে ২৫টি বহু নির্বাচনী
প্রশ্ন দেওয়া হলো। এগুলোর উত্তর মিলিয়ে জেনে নেওয়া যাবে নিজের ধরনটা। বসে
পড়ুন ঝটপট।
১. কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বই নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি কেন?
ক. বন্ধুবান্ধবদের মুখে শুনে চর্চা করছি।
খ. ওটা ছাড়া যে কিছুই ভাবতে পারি না!
গ. ধুমসো বই নিয়ে হেভি বিজ্ঞাপন হবে!
২. ম্যাথমেটিক্যাল ফাইন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। আসলে…
ক. আই লাভ দ্য সাবজেক্ট!
খ. বাবা মায়ের খুব ইচ্ছে তো তাই।
গ. খুব শাঁসালো লাইন বলে শুনেছি।
৩. পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টশন করতে হবে। ব্যাপারটা শুনে আমার মনে হলো-
ক. আমি এই মাধ্যমেই বেশি কমফোর্টেবল।
খ. এমন কোনো মহাপুরুষ আছে, যে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেনটশন করে বড় হয়েছে?
গ. ধুস, অযথা সময় নষ্ট করার মানে আছে? এর চেয়ে গা ভাসিয়ে দিই। যা হবে, দেখা যাবে।
৪. মেডিটেশন লেভেলটা বাড়ানোর জন্য একটা ধাক্কা চাই…
ক. সারাবছরই মিনিমাম পারফরম্যান্স ধরে রাখার চেষ্টা করি।
খ. ভেবে দেখিনি কখনও।
গ. ঠিক কথা। দরকার তো বটেই।
৫. খেলাধুলো? কোনো দরকার নেই। পড়াশোনাই মূল!
ক. একজন নোবেল লরিয়েটের চেয়ে একজন ওয়ার্ল্ডকাপার কম কষ্ট করে না।
খ. ফুটবল-ক্রিকেট ভালো লাগে! কিন্তু ক্যারিয়ার চয়েজ? আমি অতটা সাহসী নই।
খ. খেলেই তো রোজগার করা যায়।
৬. পড়া/চাকরিতে উন্নতি করার একমাত্র উপায় প্রচুর তেল দেওয়া…
ক. দু’টো ভালো কথা বলে যদি কাজ হলে, ক্ষতি কোথায়? ভালো কথা মানেই তো তেল নয়।
খ. দেব, খুব তেল দেব!
খ. দেবই না! নিজের প্রতিভা ও সক্ষমতার উপর আমার যথেষ্ট আস্থা আছে।
৭. সহকর্মীর হাঁড়ির খবর জানার ইচ্ছে, তার বেতনের অঙ্ক। সেটা জানার জন্য…
ক. ইন্টারেস্ট একেবারে নেই বললে মিথ্যে বলব! তবে জিনিসটা ইথিক্যাল নয়।
খ. ইথিকসের দোহাই দিয়ে বসে থাকলে চলা যায় না!
গ. একটু পরচর্চা করতে ক্ষতি কোথায়?
৮. ভালো বন্ধু দাগা দিয়ে গেল। মানুষের উপর ভরসাই উঠে গেল…
ক. খারাপ লাগে, কিন্তু কাউকে ভরসা করতে না পারলে থাকব কী করে!
খ. মানুষ অতি খারাপ জীব।
গ. কেন যে ভরসা করলাম!
৯. লোকের ভাবনায় কিছু আসে যায়?
ক. অবশ্যই যায়! অনেকক্ষেত্রে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটাই সারাজীবন টিকে থাকে।
খ. আমাকে নিয়ে আলোচনা করলে করুক। আমিও তো পরচর্চা করছি।
গ. আমি ভাবিই না! বহু সেলিব্রেটিদের নিয়ে লোকে পরচর্চা করে মরছে।
১০. আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সবসময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়…
ক. সবসময় এই ধারণা ঠিক নয়। আমি কি হলফ করে বলতে পারি, আমার একবিন্দু দোষ নেই?
খ. কর্তৃপক্ষের কাজই তো এমন!
গ. অত পাত্তা দিই না। কাজের অভাব আছে নাকি?
১১. মাল্টিটাস্কিং কনসেপ্টটা…
ক. দুর্দান্ত ব্যাপার! ফটোশপে কাজ পারি, ব্যালেন্স শিটও দেখতে পারি। ভাবতে পার, আমার স্টক কেমন?
খ. ব্যাপারটা খাটনির। তার চেয়ে এই বেশ ভালো আছি।
গ. চরদিকে মন দিলে, কোনো কিছুই ঠিকঠাক হবে না। একটাতেই মনোনিবেশ করা ভালো।
১২. গিটারের কোর্স করতে চাই। বাবা-মা মানছেন না।
ক. ওদের চিন্তা সঙ্গত। কিন্তু বুঝাতে তো হবে আমাকেই।
খ. আমাদের মা-বাবারা খুব জেদি প্রকৃতির। তাদের বুঝানো সৃষ্টিকর্তারও অসাধ্য, আর আমি তো নেহায়েত একজন মানুষ।
গ. বাবা-মা কোনোদিনও মানবেন না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকেই, যা হবে দেখা যাবে।
১৩. এক্স-ওয়াই-জেড আমাকে কখনো ভরসা দেয়নি। কনফিডেন্সের বারোটা বাজিয়ে রেখেছে। তাদের সঙ্গে আমি…
ক. সরাসরি শত্রুতার রাস্তায় হাঁটব না। বরং তাদের অবজ্ঞাটা দিয়েই নিজেকে জাগিয়ে তুলব।
খ. শত্রুতায় কাজ নেই, বরং মিত্রতার রাস্তায় হাঁটব। ওরা সংখ্যায় অনেক, তাই পেরে উঠব না।
গ. দেখিয়ে দেব আমাকে অবজ্ঞা করে কতটা ভুল করেছে।
১৪. খুব গোলমেলে পরিস্থিতি, কী করব?
ক. পুরো গুবলেট বলে কোনোদিনও কিছু হয় না। আশার আলো খুঁজতে হবে।
খ. অধিকাংশ লোকই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে, তখন আমি একা লড়ে কী হবে?
গ. গুবলেটের পিছনে দায়ী কে, সেটা খুঁজে বের করব, তারপর তাকে উদ্ধার করব!
১৫. প্রেম বা চাকরির ক্ষেত্রে কোনো শর্ত আত্মসম্মানে লাগলে কী করব?
ক. কখনও কখনও না চাইলেও অনেক কিছুই করতে হয়। তবে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগও আসে।
খ. শর্ত মেনে যদি লাভের খাতায় থাকি, তা মেনেই নেব।
গ. আত্মসম্মানেই আসল। আঘাত পড়লে ছাড়ব না।
১৬. আমি কি নিজেকে অপরিহার্য বলে মনে করি?
ক. কত রাঘব-বোয়ালকে সাইড করে দেওয়া হচ্ছে, আমি তো কোন ছার!
খ. অপরিহার্যতা হলো কনসেপ্ট, চেষ্টা করছি সেদিকে হাঁটার। আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট অপরিহার্য, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
১৭. আমি কতটা সমালোচনা গ্রহণ করতে পারি?
ক. এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপরেই।
খ. নির্ভর করছে যে সমালোচনা করছে তার উপর। গুরুত্বপূর্ণ লোক হলে তা হাসিমুখে মেনে নিতে তেমন একটা আপত্তি নেই।
গ. আমি বেশ পারফেক্ট… সুতরাং বুঝতেই পারছ!
১৮. আমি কি সবকিছুই গায়ে মাখি?
ক. গায়ে মাখার জিনিস হলে অবশ্যই মাখি। তবে চেষ্টা করি না মাখার।
খ. গায়ে মাখি না, তবে স্বার্থে ঘা পড়লে গায়ে মাখিয়ে দিই।
গ. গায়ে মাখার লেভেলে না গেলে ভালো!
১৯. আমি কি রুটিন মেনে কাজ করি?
ক. কখনও কখনও রুটিন মেনে চলি।
খ. রুটিন! মানলেও হয়, না মানলেও হয়। চাপ কীসের?
গ. রুটিন এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি।
২০. সমস্যায় পড়লে কী করি?
ক. ঠাণ্ডা মাথায় সেটা সমাধান করি।
খ. কী করব কিছুই বুঝতে পারি না।
গ. ভয় পেয়ে লোক ডেকে হট্টগোল পাকিয়ে ফেলি।
২১. অন্যদের খুশি নাকি নিজের খুশি, কোনটা বেশি জরুরি?
ক. নিজের খুশিই জরুরি, তবে আশপাশে কেউ বেজার মুখে থাকলে ভালো লাগে না।
খ. নিজের খুশিটাই বেশি জরুরি।
গ. কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু করতেই পারি না।
২২. নিজের স্বার্থে মিথ্যা বলতে পারি?
ক. দরকারে সত্যিটা গোপন করে যাই।
খ. সে তো হরহামেশাই বলছি।
গ. কখনই মিথ্যার আশ্রয় নিই না।
২৩. জীবনে কোনটাকে প্রাধান্য দিই?
ক. নাম আর ক্ষমতা।
খ. যেমন চলছে, তেমন চলুক। প্রাধান্য দিলেই বা কী আর না দিলেই বা কী!!
গ. সাফল্য, নাম যশ টাকা সব থাকবে।
২৪. কোনো কাজ কীভাবে করি?
ক. কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না দেখি।
খ. তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করি।
গ. কাজ ঠিকঠাক তাড়াতাড়ি শেষ করি।
২৫. স্কুল, কলেজে কোনো প্রজেক্টে তোমার ভূমিকা কেমন?
ক. নিজের কাজ করার দরকার পড়ে না। অন্যদের কাজ চালিয়ে দিই।
খ. দলের মধ্যে একজন হয়ে কাজ করি।
গ. আমি সবসময়ই টিমকে লিড করি। ফলাফল
বেশিরভাগ ‘ক’ :
আপনি বেশ যুক্তিবাদী। পেশাদার বুদ্ধি আছে। ফাইন্যান্স অথবা অ্যাডমিনেস্ট্রেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য সম্ভাবনাময় খাত। এ ছাড়াও যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। বোধবুদ্ধিতে আপনি ভরপুর, তাই ব্যবসাতেও ভালো ফল পাবেন।
বেশির ভাগ ‘খ’ :
আপনি মধ্যপন্থী। আপনার জন্য একদম নিরাপদ গোছের চাকরি বা পেশাই আইডিয়াল (যদিও আজকাল ‘নিরাপদ’ বলে কিছুই হয় না)। খুব খেটে প্রস্তুতি নিয়ে কম্পিটিটিভ পরীক্ষা যেমন সিভিল সার্ভিস, স্কুল, কলেজ ব্যাংকের চাকরি ইত্যাদিতে ভালো করতে পারেন।
বেশির ভাগ ‘গ’ :
ধরন হিসেবে আপনি চরমে। মানে একেবারে মেরুতে অবস্থান আপনার। আপনার জন্য সশস্ত্রবাহিনী ভালো অপশন হতে পারে। তবে অফিসার র্যাংকের হলে সেটা আপনার জন্য ভালো হবে। ফ্যাশন ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফির মতো সৃজনশীল লাইনেও যেতে পারেন। এই ধরনের কাজে আপনার মানসিকতা খুব ভালো কাজ করবে। কাজেই সৃজনশীল কাজের চিন্তাকে কখনই বাদ বাতিল করে দিবেন না।
ক ও খ :
আপনি যুক্তিবাদী ও মধ্যপন্থীর মাঝামাঝি। সুতরাং লোকের কথা শুনের নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ ক্ষেত্রে চিরচারিত চলে আসা ক্যারিয়ার বাছাই করাই শ্রেয়। এর মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবী ইত্যাদি। এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তার পদেও পরীক্ষা দিয়ে ভালো করতে পারেন।
খ ও গ :
একদিকে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেও ইগো কম নেই আপনার। এই কম্বিনেশন যেকোনো চাকরি করতে গেলেই মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। নইলে নিজের ব্যবসা বা বাবার হোটেলে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে সরকারি চাকরির অপশন খারাপ না। এসব চাকরিতে কাজের চাপ থাকবে একটু কমই।
গ ও ক :
এই কম্বিনেশনটা একদম যাকে বলে মনের মতো। সচরাচর পাওয়া যায় না। মিডিয়া, কর্পোরেট সেক্টর, আইটি সেক্টর মাতিয়ে দিতে পারেন আপনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরির উচ্চপদেও আপনি মানানসই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের শাসন চালানো দরকার, যেখানে এই স্বভাব ভালোভাবে খাপ খায়। তবে ক্রিয়েটিভ ফিল্ড, মানে মুভি মেকিং, এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলের উচ্চপদ, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো গরুত্বপূর্ণ প্রোফাইলের জন্যও নিজেকে যোগ্য মনে করতেই পারেন।
যে ফিল্ডেই ক্যারিয়ার শুরু করেন না কেন, সঙ্গে চাই একটা সঠিক জীবন বৃত্তান্ত। আর জীবন বৃত্তান্তটি সুন্দর করতে তো সবার আগে দরকার ভালো পড়াশোনা ও ডিগ্রি। কোন ধরনের ক্যারিয়ার আপনার জন্য উপযুক্ত, সেটি বুঝে নিয়ে তাই বেছে নিন পড়ালেখার বিষয় ও মাধ্যম। তারপর শুরু যুদ্ধ। একাডেমীক রেজাল্টটাও হতে হবে কিন্তু মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো। মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতায় আপনার আশেপাশে রয়েছে আরও অনেকেই। কাজেই বসে থাকার সুযোগ নেই। সো রেডি স্টেডি অ্যান্ড গো… লক্ষ্য সামনে।
সংগ্রহ করা হয়েছে ইত্তেফাক থেকে
১. কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বই নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি কেন?
ক. বন্ধুবান্ধবদের মুখে শুনে চর্চা করছি।
খ. ওটা ছাড়া যে কিছুই ভাবতে পারি না!
গ. ধুমসো বই নিয়ে হেভি বিজ্ঞাপন হবে!
২. ম্যাথমেটিক্যাল ফাইন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। আসলে…
ক. আই লাভ দ্য সাবজেক্ট!
খ. বাবা মায়ের খুব ইচ্ছে তো তাই।
গ. খুব শাঁসালো লাইন বলে শুনেছি।
৩. পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টশন করতে হবে। ব্যাপারটা শুনে আমার মনে হলো-
ক. আমি এই মাধ্যমেই বেশি কমফোর্টেবল।
খ. এমন কোনো মহাপুরুষ আছে, যে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেনটশন করে বড় হয়েছে?
গ. ধুস, অযথা সময় নষ্ট করার মানে আছে? এর চেয়ে গা ভাসিয়ে দিই। যা হবে, দেখা যাবে।
৪. মেডিটেশন লেভেলটা বাড়ানোর জন্য একটা ধাক্কা চাই…
ক. সারাবছরই মিনিমাম পারফরম্যান্স ধরে রাখার চেষ্টা করি।
খ. ভেবে দেখিনি কখনও।
গ. ঠিক কথা। দরকার তো বটেই।
৫. খেলাধুলো? কোনো দরকার নেই। পড়াশোনাই মূল!
ক. একজন নোবেল লরিয়েটের চেয়ে একজন ওয়ার্ল্ডকাপার কম কষ্ট করে না।
খ. ফুটবল-ক্রিকেট ভালো লাগে! কিন্তু ক্যারিয়ার চয়েজ? আমি অতটা সাহসী নই।
খ. খেলেই তো রোজগার করা যায়।
৬. পড়া/চাকরিতে উন্নতি করার একমাত্র উপায় প্রচুর তেল দেওয়া…
ক. দু’টো ভালো কথা বলে যদি কাজ হলে, ক্ষতি কোথায়? ভালো কথা মানেই তো তেল নয়।
খ. দেব, খুব তেল দেব!
খ. দেবই না! নিজের প্রতিভা ও সক্ষমতার উপর আমার যথেষ্ট আস্থা আছে।
৭. সহকর্মীর হাঁড়ির খবর জানার ইচ্ছে, তার বেতনের অঙ্ক। সেটা জানার জন্য…
ক. ইন্টারেস্ট একেবারে নেই বললে মিথ্যে বলব! তবে জিনিসটা ইথিক্যাল নয়।
খ. ইথিকসের দোহাই দিয়ে বসে থাকলে চলা যায় না!
গ. একটু পরচর্চা করতে ক্ষতি কোথায়?
৮. ভালো বন্ধু দাগা দিয়ে গেল। মানুষের উপর ভরসাই উঠে গেল…
ক. খারাপ লাগে, কিন্তু কাউকে ভরসা করতে না পারলে থাকব কী করে!
খ. মানুষ অতি খারাপ জীব।
গ. কেন যে ভরসা করলাম!
৯. লোকের ভাবনায় কিছু আসে যায়?
ক. অবশ্যই যায়! অনেকক্ষেত্রে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটাই সারাজীবন টিকে থাকে।
খ. আমাকে নিয়ে আলোচনা করলে করুক। আমিও তো পরচর্চা করছি।
গ. আমি ভাবিই না! বহু সেলিব্রেটিদের নিয়ে লোকে পরচর্চা করে মরছে।
১০. আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সবসময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়…
ক. সবসময় এই ধারণা ঠিক নয়। আমি কি হলফ করে বলতে পারি, আমার একবিন্দু দোষ নেই?
খ. কর্তৃপক্ষের কাজই তো এমন!
গ. অত পাত্তা দিই না। কাজের অভাব আছে নাকি?
১১. মাল্টিটাস্কিং কনসেপ্টটা…
ক. দুর্দান্ত ব্যাপার! ফটোশপে কাজ পারি, ব্যালেন্স শিটও দেখতে পারি। ভাবতে পার, আমার স্টক কেমন?
খ. ব্যাপারটা খাটনির। তার চেয়ে এই বেশ ভালো আছি।
গ. চরদিকে মন দিলে, কোনো কিছুই ঠিকঠাক হবে না। একটাতেই মনোনিবেশ করা ভালো।
১২. গিটারের কোর্স করতে চাই। বাবা-মা মানছেন না।
ক. ওদের চিন্তা সঙ্গত। কিন্তু বুঝাতে তো হবে আমাকেই।
খ. আমাদের মা-বাবারা খুব জেদি প্রকৃতির। তাদের বুঝানো সৃষ্টিকর্তারও অসাধ্য, আর আমি তো নেহায়েত একজন মানুষ।
গ. বাবা-মা কোনোদিনও মানবেন না। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকেই, যা হবে দেখা যাবে।
১৩. এক্স-ওয়াই-জেড আমাকে কখনো ভরসা দেয়নি। কনফিডেন্সের বারোটা বাজিয়ে রেখেছে। তাদের সঙ্গে আমি…
ক. সরাসরি শত্রুতার রাস্তায় হাঁটব না। বরং তাদের অবজ্ঞাটা দিয়েই নিজেকে জাগিয়ে তুলব।
খ. শত্রুতায় কাজ নেই, বরং মিত্রতার রাস্তায় হাঁটব। ওরা সংখ্যায় অনেক, তাই পেরে উঠব না।
গ. দেখিয়ে দেব আমাকে অবজ্ঞা করে কতটা ভুল করেছে।
১৪. খুব গোলমেলে পরিস্থিতি, কী করব?
ক. পুরো গুবলেট বলে কোনোদিনও কিছু হয় না। আশার আলো খুঁজতে হবে।
খ. অধিকাংশ লোকই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে, তখন আমি একা লড়ে কী হবে?
গ. গুবলেটের পিছনে দায়ী কে, সেটা খুঁজে বের করব, তারপর তাকে উদ্ধার করব!
১৫. প্রেম বা চাকরির ক্ষেত্রে কোনো শর্ত আত্মসম্মানে লাগলে কী করব?
ক. কখনও কখনও না চাইলেও অনেক কিছুই করতে হয়। তবে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগও আসে।
খ. শর্ত মেনে যদি লাভের খাতায় থাকি, তা মেনেই নেব।
গ. আত্মসম্মানেই আসল। আঘাত পড়লে ছাড়ব না।
১৬. আমি কি নিজেকে অপরিহার্য বলে মনে করি?
ক. কত রাঘব-বোয়ালকে সাইড করে দেওয়া হচ্ছে, আমি তো কোন ছার!
খ. অপরিহার্যতা হলো কনসেপ্ট, চেষ্টা করছি সেদিকে হাঁটার। আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট অপরিহার্য, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
১৭. আমি কতটা সমালোচনা গ্রহণ করতে পারি?
ক. এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপরেই।
খ. নির্ভর করছে যে সমালোচনা করছে তার উপর। গুরুত্বপূর্ণ লোক হলে তা হাসিমুখে মেনে নিতে তেমন একটা আপত্তি নেই।
গ. আমি বেশ পারফেক্ট… সুতরাং বুঝতেই পারছ!
১৮. আমি কি সবকিছুই গায়ে মাখি?
ক. গায়ে মাখার জিনিস হলে অবশ্যই মাখি। তবে চেষ্টা করি না মাখার।
খ. গায়ে মাখি না, তবে স্বার্থে ঘা পড়লে গায়ে মাখিয়ে দিই।
গ. গায়ে মাখার লেভেলে না গেলে ভালো!
১৯. আমি কি রুটিন মেনে কাজ করি?
ক. কখনও কখনও রুটিন মেনে চলি।
খ. রুটিন! মানলেও হয়, না মানলেও হয়। চাপ কীসের?
গ. রুটিন এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি।
২০. সমস্যায় পড়লে কী করি?
ক. ঠাণ্ডা মাথায় সেটা সমাধান করি।
খ. কী করব কিছুই বুঝতে পারি না।
গ. ভয় পেয়ে লোক ডেকে হট্টগোল পাকিয়ে ফেলি।
২১. অন্যদের খুশি নাকি নিজের খুশি, কোনটা বেশি জরুরি?
ক. নিজের খুশিই জরুরি, তবে আশপাশে কেউ বেজার মুখে থাকলে ভালো লাগে না।
খ. নিজের খুশিটাই বেশি জরুরি।
গ. কাউকে কষ্ট দিয়ে কিছু করতেই পারি না।
২২. নিজের স্বার্থে মিথ্যা বলতে পারি?
ক. দরকারে সত্যিটা গোপন করে যাই।
খ. সে তো হরহামেশাই বলছি।
গ. কখনই মিথ্যার আশ্রয় নিই না।
২৩. জীবনে কোনটাকে প্রাধান্য দিই?
ক. নাম আর ক্ষমতা।
খ. যেমন চলছে, তেমন চলুক। প্রাধান্য দিলেই বা কী আর না দিলেই বা কী!!
গ. সাফল্য, নাম যশ টাকা সব থাকবে।
২৪. কোনো কাজ কীভাবে করি?
ক. কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কি না দেখি।
খ. তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করি।
গ. কাজ ঠিকঠাক তাড়াতাড়ি শেষ করি।
২৫. স্কুল, কলেজে কোনো প্রজেক্টে তোমার ভূমিকা কেমন?
ক. নিজের কাজ করার দরকার পড়ে না। অন্যদের কাজ চালিয়ে দিই।
খ. দলের মধ্যে একজন হয়ে কাজ করি।
গ. আমি সবসময়ই টিমকে লিড করি। ফলাফল
বেশিরভাগ ‘ক’ :
আপনি বেশ যুক্তিবাদী। পেশাদার বুদ্ধি আছে। ফাইন্যান্স অথবা অ্যাডমিনেস্ট্রেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য সম্ভাবনাময় খাত। এ ছাড়াও যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। বোধবুদ্ধিতে আপনি ভরপুর, তাই ব্যবসাতেও ভালো ফল পাবেন।
বেশির ভাগ ‘খ’ :
আপনি মধ্যপন্থী। আপনার জন্য একদম নিরাপদ গোছের চাকরি বা পেশাই আইডিয়াল (যদিও আজকাল ‘নিরাপদ’ বলে কিছুই হয় না)। খুব খেটে প্রস্তুতি নিয়ে কম্পিটিটিভ পরীক্ষা যেমন সিভিল সার্ভিস, স্কুল, কলেজ ব্যাংকের চাকরি ইত্যাদিতে ভালো করতে পারেন।
বেশির ভাগ ‘গ’ :
ধরন হিসেবে আপনি চরমে। মানে একেবারে মেরুতে অবস্থান আপনার। আপনার জন্য সশস্ত্রবাহিনী ভালো অপশন হতে পারে। তবে অফিসার র্যাংকের হলে সেটা আপনার জন্য ভালো হবে। ফ্যাশন ডিজাইনিং, ফটোগ্রাফির মতো সৃজনশীল লাইনেও যেতে পারেন। এই ধরনের কাজে আপনার মানসিকতা খুব ভালো কাজ করবে। কাজেই সৃজনশীল কাজের চিন্তাকে কখনই বাদ বাতিল করে দিবেন না।
ক ও খ :
আপনি যুক্তিবাদী ও মধ্যপন্থীর মাঝামাঝি। সুতরাং লোকের কথা শুনের নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ ক্ষেত্রে চিরচারিত চলে আসা ক্যারিয়ার বাছাই করাই শ্রেয়। এর মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবী ইত্যাদি। এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষক বা সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তার পদেও পরীক্ষা দিয়ে ভালো করতে পারেন।
খ ও গ :
একদিকে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেও ইগো কম নেই আপনার। এই কম্বিনেশন যেকোনো চাকরি করতে গেলেই মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। নইলে নিজের ব্যবসা বা বাবার হোটেলে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে সরকারি চাকরির অপশন খারাপ না। এসব চাকরিতে কাজের চাপ থাকবে একটু কমই।
গ ও ক :
এই কম্বিনেশনটা একদম যাকে বলে মনের মতো। সচরাচর পাওয়া যায় না। মিডিয়া, কর্পোরেট সেক্টর, আইটি সেক্টর মাতিয়ে দিতে পারেন আপনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরির উচ্চপদেও আপনি মানানসই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের শাসন চালানো দরকার, যেখানে এই স্বভাব ভালোভাবে খাপ খায়। তবে ক্রিয়েটিভ ফিল্ড, মানে মুভি মেকিং, এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলের উচ্চপদ, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো গরুত্বপূর্ণ প্রোফাইলের জন্যও নিজেকে যোগ্য মনে করতেই পারেন।
যে ফিল্ডেই ক্যারিয়ার শুরু করেন না কেন, সঙ্গে চাই একটা সঠিক জীবন বৃত্তান্ত। আর জীবন বৃত্তান্তটি সুন্দর করতে তো সবার আগে দরকার ভালো পড়াশোনা ও ডিগ্রি। কোন ধরনের ক্যারিয়ার আপনার জন্য উপযুক্ত, সেটি বুঝে নিয়ে তাই বেছে নিন পড়ালেখার বিষয় ও মাধ্যম। তারপর শুরু যুদ্ধ। একাডেমীক রেজাল্টটাও হতে হবে কিন্তু মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো। মনে রাখতে হবে, প্রতিযোগিতায় আপনার আশেপাশে রয়েছে আরও অনেকেই। কাজেই বসে থাকার সুযোগ নেই। সো রেডি স্টেডি অ্যান্ড গো… লক্ষ্য সামনে।
সংগ্রহ করা হয়েছে ইত্তেফাক থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন