তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয়
রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছো? তাহলে, আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার
জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে
অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে।
আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ কিন্তু, এগুলো থেকে বেশী টাকা রোজগার করা যায় না। এ তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার, তা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নরুপ,
আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ কিন্তু, এগুলো থেকে বেশী টাকা রোজগার করা যায় না। এ তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার, তা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নরুপ,
১।পেড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার
সার্ভে
বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে”
সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপক্ষা করবে;
সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে
তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব
দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে
সেভী।
২।নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের
লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে
নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ
যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট
আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ
করে নেয়।
৩।পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি
ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে
আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট
সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগলো আয়ের তুলনায় অনেক
বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের
তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ
প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাকস্.টু
৪।তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক
হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো।
অনলাইনের ডিজাইনার্রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি
তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো
আই-স্টক-ফটোস্ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।
৫।গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা
সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা
পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা!
গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে।
কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরী
করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই সেখানো
হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল
নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
google.com/adsense
google.com/adsense
৬।তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার
মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানীর ব্যাপারে তোমার
মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। পেড রিভিউ সাইটগুলো
কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানী বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড,
পন্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত
বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও
ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় পেড্ রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যালস্পার্ক
৭।এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার
ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবে আর যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর
থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পন্য আছে যেগুলো বিক্রি করা
যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো।
তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পন্য বিক্রয় করতে
পারো।
৮।ব্যানার এডস্ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা
ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ
করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার
ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি
হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।
৯।ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের
একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা
এড্মিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ
করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।
১০।টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার”
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা
ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানী রয়েছে, যারা টুইটার
বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন-
মেগ-এ-পাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন